Sunday, 9 September 2012

PROJECT CHANDRADIP BY SUJAY KUNDU


প্রজেক্ট  চন্দ্রদ্বীপ

মূল বক্তব্য-   সম্পূর্ণ   ঐতিহাসিক  দৃষ্টিকোণ  থেকে  এই  মিশন । বহু প্রমান ও সাক্ষীর ও  বহু  মানুষের  অক্লান্ত  অনুরোধে  এই  মিশন শুরু  করার  পরিকল্পনা  করা  হয়েছে ।
সম্প্রতি এই অঞ্চল  ভ্রমনকালে প্রচুর  ঐতিহাসিক  নিদর্শন ও  সাক্ষ্য- প্রমান খুজে পাই। দেশে  ফিরে এই মহান ও সুপ্রাচিন ইতিহাস  কোন ইতিহাস  বই  বা উইকি এর  পাতায়  না  খুজে  পেয়ে  ভীষণ  হতাশ  হই ।
হয়তো ভবিষ্যতের  আরও  কিছু  বছর  পরে  এই  ইতিহাস  পুরোপুরি  ধুয়ে-মুছে যাবে ।  সমাজ , বাকি বিশ্ব , বাংলাদেশের - বরিশালের মানুষ ও  বিশেষ  করে  বাঙালি  হিন্দু   নিজের  ইতিহাসের এই গৌরবান্বিত অধ্যায় চিরকালের  জন্যে  হারিয়ে ফেলবেন,কারন ৭০ %  ইতিহাস বর্তমানেই  মুছে গেছে  বলে  অনুমান সেই  অঞ্ছলের কিছু  বেশ  শিক্ষিত হিন্দু ও মুসলমান মানুষের।  তাই  এই  অনুসন্ধান মিশনে আরও  বিলম্ব  অভিপ্রেত  নয়

প্রেক্ষাপট – অতি প্রাচীন কাল থেকেই ভারতবর্ষ    বঙ্গভুমি ও  হিন্দু  রাজগণ শাসিত  হয়েছে । খ্রিস্টপূর্ব  ৩০০০ থেকে  প্রায়  ১২০৩ -১৩০০ শতাব্দী অব্দি মহান  বীর  হিন্দু  রাজগণ  নিরাপদে   চন্দ্রদ্বীপ  শাসন  করেছিলেন। এমনকি ঠিকঠাক অনুসন্ধান করলে এই  অঞ্চলে ৫০০০ বছরের পূর্বেও  খুব বড়  হিন্দু সভ্যতার ইতিহাস খুজে পাওয়া যাবে , এই  ধারনা পোষণ  করেন  বহু  মানুষ ও  ঐতিহাসিক ।   এমনকি  বখতিয়ার খিলজির  বঙ্গভুমি অধিকারের সময় থেকে মুঘল  সম্রাট জাহাঙ্গিরের শাসনকাল  অব্দি চন্দ্রদ্বীপ  হিন্দু রাজাদের দ্বারা  শাসিত  হয়েছিল ।  এই  দ্বীপের   বহু অংশ  আজও  সারা পৃথিবীর কাছে  অজানা ও রহস্যময় । বরিশালের বেশিরভাগ  অঞ্চল আজও  মধ্য  আমেরিকা ও আফ্রিকার  অরণ্য ও জলাভূমির থেকেও  অতি- দুর্গম । কিন্তু  বাঙালি  জাতি সেই  দুর্গমতা  কাটিয়েও  এই  সমস্ত  অঞ্চলে  বসতি গড়ে তুলেছিল , যার খোজ আজও  পাওয়া যায়   আজকের  বরিশালের ও তার  আশেপাশে  দ্বীপ  আজও  আছে  যেখানে  প্রাচীন  আদিবাসীগণ  বছরে- ২ বছরে  একবার মাত্র  শহরে  আসেন  নৌকা  সহযোগে  এবং  প্রয়োজনীয়  দ্রব্য  সংগ্রহ  করে আবার  দ্বীপে  ফেরত চলে  যান  ১-২ বছরের জন্যে ।  এই  মিশন  সেই আদি  ও অজানা  দ্বীপ ও দ্বীপবাসী ও  সমগ্র  চন্দ্রদ্বীপের  মহান   ইতিহাস কে  বাকি  দুনিয়া  ও বিশেষ  করে বাঙালি  বিশ্বের  কাছে  তুলে ধরবে। যদিও  বাংলাদেশের ও ভারতীয়  বর্তমান প্রেক্ষাপটে কাজটি খুব  কঠিন , সেই  জন্যে  ভারত ও বাংলাদেশ সরকার , চন্দ্রদ্বীপের  মানুষ ও বাঙালি ও ইতিহাস উৎসাহী  মানুষের  সাহায্য প্রয়োজনীয়  হতে পারে ।


লক্ষ্য – চন্দ্রদ্বীপের বাঙালীর  সুপ্রাচীন ও  সাম্প্রতিক  ইতিহাস    কিছু   বহু চর্চিত  রহস্য  অনুসন্ধান  করাই   এই  মিশনের  লক্ষ্য ।  মিশনের  কোন  আর্থিক বা রাজনিতিক  কোন  লক্ষ্য নেই ।  বাঙালি জাতির অনাবিষ্কৃত  ও ১০০ %  সত্য    তথ্য নির্ভর  ইতিহাস  অনুসন্ধান  এই  মিশনের  অভিপ্রেত  লক্ষ্য ।   সুপ্রাচীন  কিছু  রহস্যময়  ঘটনা   ছাড়াও   মধ্যযুগের ও বিভিন্ন  সময়ের  ইতিহাস নিয়ে  অনুসন্ধান    তার  সাথে  প্রমান এবং   ঐতিহাসিক  নিদর্শন  অনুমতি সাপেক্ষে  সংগ্রহ  করা হবে  । এর সাথে সাথে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে বরিশালের হিন্দু ( বিশেষ করে  হিন্দু নমশূদ্র জাতি ) জাতির অত্যন্ত  কম আলোকপ্রাপ্ত  সংগ্রামের ও বলিদানের ইতিহাসের ওপর আলোকপাত  করা  হবে । যা আগে প্রায় কোনদিনই কেউ করেনি ।

অগ্রাধিকার – প্রথম পর্যায়ে নিজ চোখে  দেখা ও এলাকার বিভিন্ন ধর্মমতের শিক্ষিত মানুষের  দ্বারা  বর্ণিত ইতিহাস ও তার সহজলভ্য  সাক্ষ্য –প্রমান-তথ্য  গুলোকেই   অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ।
এছারাও পাকিস্তানের বিপক্ষে  ভাষা- মুক্তিযুদ্ধে এই  এলাকার নিম্ন বর্ণের  হিন্দু অবদান ও বলিদান সম্পর্কিত ইতিহাসকেও  অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ।
পরবর্তীতে  মিশন বাংলাদেশের আরও দুর্গম এলাকার  দুষ্প্রাপ্য আদি বাঙ্গালি  ইতিহাসের  আরও  প্রমান সহ অনুসন্ধান দেবে ।

প্রথম পর্যায়ের  অনুসন্ধানে যে সমস্ত বিষয় গুলো অগ্রাধিকার পাবে –
১-  চন্দ্রদ্বীপের উৎপত্তি ও সুপ্রাচীন ইতিহাসের প্রমান
২- ভূগোল তথ্যের সাথে  ইতিহাসিক কিংবাদন্তির  তুলনার প্রমান
৩- চন্দ্রদ্বীপের রাজবংশগণ ও তাদের কীর্তি সমূহের প্রমান
৪-চন্দ্রদ্বীপের রাজবংশগণ ও তাদের সেনা, দুর্গ ও যুদ্ধ অস্ত্রের প্রমান
৫-সেই সময়ের শিল্প – বাণিজ্য – ধনরত্ন ও তার প্রমান
৬-দুরগা সাগরের ইতিহাস ও তার প্রমান
৭- ভগবান শাম্যারাইল শিবের ইতিহাস ও তার প্রমান
৮-মানসী মনসা দেবির ইতিহাস ও তার  প্রমান
৯- দেবী কাত্যয়নি সম্পর্কিত ইতিহাস ও তার প্রমান
১০- দক্ষিণ চক্র ঠাকুর ও ভগবান মদনগোপাল সম্পর্কিত ইতিহাস ও তার প্রমান
১১- এই অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে  নমশূদ্র  হিন্দু যুবকদের দ্বারা  কতৃক  উচ্চবর্ণ  হিন্দু  ও মুসলমান বাঙালি রমণীদের  সন্মান রক্ষা ও আত্মবলিদান  ( পাকিস্তানি নরখাদক বাহিনীর হাত থেকে ) ও তার প্রমান । (মুক্তিযুদ্ধের  ইতিহাসে এই ঘটনা  ব্রাত্য  কেন ? )
1২- দুর্গম ও খুব কম আলোকপ্রাপ্ত এলাকাগুলিতে আজও বর্তমান  নমশূদ্র  হিন্দু প্রভাব ও প্রতিপত্তি ও ধন-সম্পদের প্রমান ।
১৩- মা সাদা কালির রহস্য ও প্রমান 
১৪- কীর্তনখোলা নদীতে রহস্য জনক কামান – শব্দ ও তার গবেষণা ও তার পিছনের কিনবাদন্তির ইতিহাস ও তার প্রমান  ( ডিসকভারী চ্যানেল বিখ্যাত)।

১৬- বৌ-ঠাকুরানীর দীঘি ও চাঁদসী গ্রামের জমিদার বংশগুলির রহস্যময় ইতিহাস ও তার প্রমান ।
১৫- বিখ্যাত   চাঁদসী     চিকিৎসা পধ্যতি (  শতাব্দী প্রাচীন   গৌরনদীর  চাঁদসী    গ্রামের  পদ্ম বিশ্বাস আবিষ্কৃত ও  কুষ্টিয়ার  বিশ্বস্বর পোদ্দার দ্বারা  প্রচারিত )    তার মাধ্যমে যে কোন দুরারোগ্য রোগ- ব্যাধি নিরাময়ের  সাক্ষ্য ও প্রমান । ( আদিম  চন্দ্রদ্বীপের  চিকিৎসকগণ  দ্বারা  এই বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসা প্রণালি আবিষ্কৃত , যা আজ অনেকটাই ধামাচাপা ও রহস্যময় )।
১৬- চন্দ্রদ্বীপের অবশিষ্ট অল্প সংখ্যক  হিন্দু  হিন্দু মন্দিরগুলির  ঐতিঝ্য ও ইতিহাস রক্ষায়  ওই এলাকার  কিছু  মুসলমান জনগনের  প্রচেষ্টা ও তাদের ইতিহাস উদ্ধারের আবেদন 
১৭- রহস্যময়ী সন্ধ্যা নদির ইতিহাস ও নৌকা- প্রতিযোগিতা ও তার পিছনের ইতিহাস।
১৮- চন্দ্রদ্বীপের ও আশেপাশের অঞ্চলে (বর্তমান বরিশাল ) নমশূদ্র হিন্দু জাতির পুনঃ আর্থিক  উত্থানের প্রমান ও কারন ।
১৯- দেবী রাজ মাতা মা রাজলক্ষ্মীর ভুবনমোহিনী মূর্তি  জলাশয় থেকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা  ( কল্পিত ও বহু কথিত যে  এই মূর্তি উদ্ধারে বঙ্গ সহ ভারত  আজ বিশ্বে  সর্বশ্রেষ্ঠ  ধনী সম্পদায়  হিসাবে পরিচিত হতো )। মায়ের কৃপায় সেই জলাশয় ইতিমধ্যেই  আবিষ্কার করে ফেলেছেন এলাকার  কিছু  মানুষ ।




প্রস্তাবিত রূপরেখা –
বিভিন্ন পর্যায় এই প্রকল্প রুপায়ন করার প্রচেষ্টা করতে হবে-
১- বিভিন্ন বই থেকে তথ্য সংগ্রহ ।
২-এলাকার ধর্ম বর্ণ  নির্বিশেষে  মানুষের  সহযোগিতা নেয়া হবে । ওই বয়স্ক লোক ও পুরনো বংশগুলোর ও ওই এলাকার  ইতিহাস চর্চারত দেশবিদেশের  বিভিন্ন মানুষকে প্রমাণগুলো সম্পকে অবহিত করা ও তাদের সাথে কথাবার্তা ও ইনটারভিউ করা।
৩-সহজলভ্য প্রমান গুলি কে অতিদ্রুত  ক্যামেরা বন্ধি 
৪-ইতিমধ্যে পাওয়া ঐতিহাসিক  অস্তিত্বের প্রমানগুলো  সেখানেই  সংরক্ষিত  করার বিষয় আবেদন ।
৫- ওই এলাকা ভ্রমন করে আরও প্রমান সংগ্রহ ।

পরিকাঠামো –  এই মিশনের সাহায্যকারী  বাক্তি বা সংস্থাকেই মিশনের   পরিকাঠামো তৈরির দায়িত্ব  দেওয়া  হবে । তারাই মিশনের কাজে কর্মী নিয়োগ করবেন  ও বিভিন্ন ভাবে আদেশ ও উপদেশ  দিতে পারবেন ।

পরিকল্পনার সময়সীমা- প্রাথমিক ভাবে এই মিশনের ১ ম পর্যায়ের  সময়-সীমা  ২- বছর লাগতে পারে , এর  মধ্যে কমপক্ষে ৬ মাস এলাকায় থেকে গবেষণা- কাজ করা যেতে পারে । অতি দ্রুত এই মিশন শুরু না হলে ক্রমে আরও ইতিহাস লুপ্ত হয়ে যেতে পারে ।



উদ্যোগ-  বাক্তিগত উদ্যোগে  আমি এই গবেষণার সাথে বহু কাল যুক্ত ও  ৭-৮ মাস পূর্বে  বাংলাদেশে  ভ্রমণকালে প্রচুর অজানা ও অনাবিষ্কৃত ধামাচাপা পরা  ইতিহাসের সন্ধান পেয়েছি । তবে বাক্তিগত বা একক প্রচেষ্টায়  একটি  বিশাল  দুর্গম এলাকার  ২০০০-৩০০০ বছরের ইতিহাস বের করা খুব কঠিন বলেই মনে করি , সেই উদ্দেশে  আজ এই  প্রোজেক্ট তৈরির  উদ্যোগ  নিয়েছি ।
নজরদারি – মিশন শুরুর ১ মাসের মধ্যেই এই মিশনের  কাজকর্ম ও সফলটার ওপর নজরদারির জন্যে  কমিটি  গঠন করা হবে । এই মিশনের  সাহায্যকারী  বাক্তি বা সংস্থাকেই নজরদারির দায়িত্ব  দেওয়া  হবে ।

সম্ভাব্য  ফলাফল -  প্রথম পর্যায়ের ২ বছরের  মিশন  ধর্ম- বর্ণ  নির্বিশেষে   বাঙালির   মধ্যে  ব্যাপক  সারা ফেলবে বলে মনে করি । বেশ কিছু মানুষ আরও বাঙালি ও  তাদের  ইতিহাস নিয়ে  উৎসাহিত হবেন ।  বাঙালি  ও বিশেষ করে নিম্নবর্ণ  বাঙালি  উপহার পাবে  তাদের গৌরবান্বিত  ইতিহাস ।
এছারাও  বাংলাদেশের  বরিশাল ( বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ )  বাঙালি ও  সারা দুনিয়ার  হিন্দুদের  জন্যে  একটি  ঐতিহাসিক ও প্রাকিতিক  দুর্গম  ভ্রমনস্তল হিসাবে পরিচিত হবে ।
যার মাধ্যমে ওই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নও  হতে পারে ।
নতুন করে  হিন্দু মন্দিরগুলো ও  ঐতিহাসিকস্থল গুলো পরিচিতি  পাবে ।

মুখবন্ধ- এই প্রোজেক্ট কোন রাজা বা শাসক বা কোন ধর্ম বা বর্ণ বা তাদের ইতিহাসের তুলনায় প্রাগৈতিহাসিক ওই  অঞ্চলের  সাধারণ মানুষ ও তাদের মহান  ইতিহাস কে প্রাধান্য দেবে । এই  ইতিহাসের  পুনঃ উদ্ধারের জন্নে সকল  বাঙ্গালীর   সাহায্য কামনা করি


সুজয় কুণ্ডু
কোলকাতা
ফোণ- ৯২৩১৯৪২৬০১

THIS PROJECT'S WRITEUP COPYRIGHTED TO BISAS
(Bangiya Itihas o Sanskriti Anusandhan Samiti)
AND SUJAY KUNDU



Monday, 16 July 2012

WHAT ABOUT THE BENGALI HERITAGE ?

We are surprised to learn from The Telegraph that West Bengal Heritage Commission is going to protect the French and Danish Heritage Buildings in Chandannagore and Srerampore respectively. The project is named "Europe on the Ganges". The French and Danish Govts. will provide funds for it. While there is so much interest about the Colonial Past, the Bengali Media fails to highlight the poor conditions of Bengali Heritage Buildings. Are we living in a Bengali state? The news speaks otherwise. In this state, the Bengali interest is secondary. It can be purchased if necessary. We have taken a decision to highlight the Bengali Hindu Heritage of Chandannagore and Srerampore. The first city was famous for the revolutionary organisation Pravartak Sangha and for the activities of Rashbehari Basu, while the 2nd was a Zamindari of the Seoraphuly Raj Parivar, from whom the Danes purchased the lands. The initiative on this issue is taken by Santanu Chandra, who is the head of Kolkata Chapter of BISAS.
 

AN WEBSITE ON THE HISTORY OF CHANDRADWIP

BISAS has taken initiative to launch an website on the Hindu History of Chandradwip, Barishal. The kingdom of Chandradwip had a continuity till 18th Century when it was conquered by the Muslims. Once it covered greater Barishal, parts of Chattogram, khulna and some islands. The Hindu kings ruled here during an age of Islamic domination and Mughal Imperialism. The website will cover the political, spiritual, socio-cultural history as well as trade and commerce, foreign relations, accounts of European travellers etc. The head of this project is Sujoy Kundu who is from Barishal. We invite all to help us with current information on Barishal and for financial assistance

PARTICIPATE IN THE DINNER OF THE FRIENDS UNITED CLUB

The Friends United Club, Girish Park, is going to organise a grand meeting of its life members on 19th August, 2012. It will be different from other ordinary gatherings because this club is a Swadeshi Heritage Club, founded towards the end of the 19th Century. Many descendants of the revolutionaries will be present on this occassion, especially Prabir Sett of the famous Sett Family of Rambagan, North kolkata. This Sett Family once gave birth to Jatin Sett, who was the first Bengali student of Havard and the first student of Arobindo in Jatiya Siksha Parishad. He was a revolutionary of Anushilan Samiti from the beginning and also a member of The Friends United Club. However, the life members will be given some benefits from our club. Shib Nath Sadhu, the Honourable Secretary of the Club, said-" We are going to organise a special dinner for this purpose. Our aim is to revive this heritage club and also give respect to the life members." Those who are interested to participate in it, and wish to become a part of this historical club, can become our life member before 15th August. Our life membership fee is Rs. 500. Interested people can contact Sri Sujay Chatterjee, Librarian of The Friends United Club, Girish Park, after 6:30 p.m.

Wednesday, 27 June 2012

Raygunakar Bharat Chandra and His Times ( II ) Sujay Chattopadhay

The Maratha Invasion was an important factor in the history of Bengal like the Chola invasion. While the Chola invasion weakened the Pala rule, the Maratha invasion weakened the authority of Muslim Nawab Alivardi khan. The Nawab fled from his capital Murshidabad and had to depend on his Hindu Rajas for a long time. These Hindu Rajas gave Nawab both financial and military support. Most notable among them were Natore and krishnanagar Royal Families. However, Alivardi khan could not defeat the Marathas. From their katwa headquarter, the Marathas continued their raids on Bengal. Mir Habib was appointed as Dewan and Shesh Rao as Governor of the Marathas. At last Nawab agreed to pay 22 lakhs to Peshwa and Chauth to Shahu on 30th March, 1743. But after a period of silence, Bhaskar Pandit renewed his raids in March, 1744. Alivardi got tired of it and his men assassinated Bhaskar Pandit on 31st March, 1744, at Mankara. Mir Habib joined the forces of Alivardi and he was murdered by the Marathas on 24th August, 1752. As a result, Alivardi lost control over Orissa and Marathas lost interest in Bengal. This ended the Maratha raids on Bengal. The Bhosles of Nagpur never again interfered in Alivardi's kingdom. While Bharat Chandra was a court poet of Maharaja krishna Chandra, he closely observed all these political turmoils. During his boyhood, he was a silent observer of the ravages caused by the invasion of Maharaja kirtichand of Bardhaman which destroyed the Bhurshut kingdom as well as his father's zamindari. His father had to flee and young Bharat Chandra had to spend his early life in his maternal uncle's house in Noapara. He received early Sanskrit education in Tajpur Tol. Later learnt Farsi from Ramchandra Munshi of Debanandapur, Hugli. But neither Sanskrit nor Farsi gave him recognition. It was Bengali that made him an immortal poet of the 18th Century. Bengali was the spoken language of the common people while Farsi was the language of the Muslim ruling elite and Sanskrit was confined among the intellectuals of Hindu society. However, Bharat Chandra created a new style in Bengali language and in Bangla music. He was the last powerful poet of Mangalkavya tradition, a Hindu tradition that had no Islamic influence. The Mangalgaan influenced many Bengali musicians of the early 19th Century. It was used in Bengali theatres of that time. Today this tradition is lost and Annadamangal is no longer a favourite of the Bengalees. But Bharat Chandra survived, not because of his poetry and music-it was the Bengaliness in him that kept him alive till today.

Saturday, 9 June 2012

Raygunakar Bharat Chandra and His Times ( Part I ) by Sujay Chattopadhyay

The name of Bharat Chandra, unlike the names of 19th Century Bengali writers and poets like Bankim, Rabindranath etc, is not so well known outside the circle of a few interested Bengalees and a few scholars who work on 18th Century Bengal. Outside Bengal, the name is surprisingly well known among the Marathas because Gangaram, of Maharashtra Puran fame, was a contemporary of Bharat Chandra and he gave some valuable accounts of Maratha invasion in Bengal during the time of Alivardi khan.
Bharat Chandra is totally forgotten in his native place Howrah, where Bharat Chandra Mela, a fair is still organised in his memory, but the common people is ignorant about it. He is also forgotten in krishnanagar, once the capital of Maharaja krishna Chandra, who first recognized his talent and gave him land, title and financial assistance. Recently Bharat Chandra once again came into forefront due to a socio-political turmoil named Paribartan which ended the long communist rule in Bengal and liberated the Bengaliness from communist prison. With the return of Jatiyatabad, Bharat Chandra also returned. Recently many people and groups took interest in him. The object is clear. He was an 18th Century poet who wrote the Pre-British work named Annadamangal, where he gave importance to common people and described the life of 18th Century Bengal. His songs called Mangalgaan was made popular by another 18th Century Russian Gerasim Lebedev, who also translated Bharat Chandra's works and used the style of mangalgaan in his plays. Hence Bharat Chandra's time is important for many reasons. He was not influenced by European thinking and style. That's why some ex-communists remembered him during Behala Book Fair. Bharat Chandra, for the first time gave importance to Maharaja Pratapaditya, in his 3rd part of Annadamangal. This later played major role during the revolutionary movement, when Pratapaditya was worshipped as a national hero of Bengal. What makes Bharat Chandra special in the eyes of revolutionaries was his adventurous lifestyle which ended in Mulajore in 1760 as well as his revolt against the family. This rebel in Bharat Chandra never died, although his early life was not easy. Born in 1712, in Pedo Basantapur village of Bhurshut Pargana, Howrah, Bharat Chandra was connected to the royal family of Bhurshut kingdom, which ruled Howrah-Hoogly during the Mughal Period. His father Narendranarayan Ray was a Zamindar. During his time Bardhaman Raj conquered the Bhurshut kingdom and the prosperity of howrah was on the wane. When Bharat Chandra was young, he fell in love with a girl named Radha and married her against the wishes of his father. This enraged his father and Bharat Chandra was compelled to leave his home in search of an unknown life. After many wanderings and hardships, he went to the house of Indranarayan Chaudhury, then Diwan of the French Govt. of Chandannagore. Here he came into contact with Maharaja krishna Chandra, who later appointed him as court poet and gave him the title Raygunakar and land at Mulajore. The rest is history. In 1752, he wrote Annadamangal in three parts. The first part is devotional, while the 2nd and 3rd parts are historical. His other works include Rasamanjari, Nagastaka, Gangastaka, Satyanarayan Panchali, Chandi Natak etc. The later life of Bharat Chandra was mostly spent in Mulajore, although he could not forget his early life in Howrah. His writings contain many place and river names, mostly of Howrah. During his lifetime, he had seen many incidents that left mark on his works. The most important was the Bargi Raids during 1740's. The same year Bharat Chandra wrote Annadamangal, Gangaram also wrote his Maharashtra Puran ( 1752 ). In his introduction to Annadamangal, Bharat Chandra wrote-"When Alivardi destroyed hindu temples in Bhubaneshwar, Nandi got furious and took his javelin to destroy the Yavanas but Lord Shiva prevented him by saying that the ruler of Bargis ( Marathas ) will subdue the Yavanas and so he appeared before the Maratha ruler who sent Bhaskar Pandit to Bengal." In the 3rd part of Annadamangal, reference is made to the oppression by the Muslims who destroyed the Hindu Temples and insulted the Brahmanas. The most notable is Jahangir's speech-" The very sight of a Brahman is loathsome to me and the desire often seizes me to convert all the Hindus to Islam." The Maratha Raid of Bengal was a result of the eastward expansion of the Maratha Empire, under the Bhonsles of Nagpur. Raghuji Bhonsle I ( 1738-55 ), a contemporary of Peshwa Balaji Baji Rao ( 1740-61 ), sent Bhaskar Pandit who attacked Bardhaman in April, 1742. On May 6th, he reached Murshidabad and took 3 lakhs from Jagat Seth. This incident moved the contemporary Bengali poets and writers. Although Bharat Chandra's patron sided with Alivardi, but it was the same krishna Chandra who later organised the conspiracy against Siraj. However, the Maratha raids sowed the seeds of future destruction of Nawab's rule.